শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ঘোষণা দেয় সরকার। এই খবরেই রাত ১১টার দিকে জনতার চাপ সামলাতে সিরাজগঞ্জ শহরের মিরপুর ফিলিং স্টেশনে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। হঠাৎ তেল দেওয়া বন্ধ ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উপস্থিত গ্রাহকরা ওই ফিলিং স্টেশনে হামলা চালিয়ে জানালা ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি সামল দিতে পাম্প কর্মচারীরা বাধা দিলে গ্রাহক ও কর্মচারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
গ্রাহক ও পাম্প কর্মচারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে এক ব্যক্তির পরনের জামা, গেঞ্জি ও প্যান্ট ছিড়ে যায়। তিনি প্রতিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে দিগম্বর হয়ে জাঙিয়া পরিহিত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যান।
শনিবার (০৬ আগস্ট) সকালে তার এই দৌড়ে পালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড হলে মূহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
সেই মিরপুর ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো.বাবু খান বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পরই শুক্রবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ গ্রাহকদের ভিড় বেড়ে যায়। উপস্থিত গ্রাহকরা সকলেই টাংকি বোঝাই করে তেল নিতে চান। ফলে শত শত গ্রাহকের চাপ সামাল দিতে কর্মচারীদের প্রচণ্ড হিমশিমে পড়তে হয়। বিশেষ করে বাইক ও ট্রাকের ভিড়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, পাম্প কর্মচারীরা গ্রাহকদের চাপ সামলাতে না পেরে অনেকটা বাধ্য হয়ে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাম্পে আসা উত্তেজিত ক্রেতারা হামলা চালিয়ে ফিলিং স্টেশনের সামনের জানালা ও ডেকোরেশন গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় কর্মচারীরা তাদের বাধা দিলে মারপিটের ঘটনা ঘটে। মারপিটের সময় এক ব্যক্তির পরনের জামা, গেঞ্জি ও প্যান্ট ছিড়ে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে দিগম্বর ওই ব্যক্তি জাঙিয়া পরিহিত অবস্থায় দৌড়ে পালায়।
উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মিরপুর ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন সকালে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।