ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এ ঘটনায় ২০ শিশুসহ প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইসরাইলের প্রথম দফার হামলায় ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরাইলের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আরও কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই এই ব্যাপক হামলা চালানো জরুরি ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামলার আগে তেহরান এমন কোনো অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টায় সক্রিয় ছিল না।
ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রথমে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর পর ইসরাইলের দিকে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদন বলা হয়, ইসরাইলে ইরানের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। শুক্রবার রাতে ও শনিবার ভোরে এসব হামলা চালায় তেহরান।
এদিকে শুক্রবার রাতে ইরানে ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশটির সাধারণ জনগণকে বিদ্রোহ করার আহ্বান জানানোর পর বেসামরিক নাগরিক এ হতাহেতের খবর জানা গেল।
শুক্রবার ভোরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রাণকেন্দ্র ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর ওপর হামলা চালায় ইসরাইল। এসব হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন।