সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও বর্তমান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও সাবেক চীফ হুইফ আ স ম ফিরজকে খন্দকার মোসতাক বলে আখ্যা দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচালক মো.হুমায়ুন কবির৷
এসময় তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবং সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ দায়ী রয়েছে।
সোমবার বিকাল ৩ টায় ২১ আগস্ট স্মরণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। এসময় মঞ্চে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো: ছাদেকুল আরেফিন কর্মকর্তা হুমায়ুনকে কয়েক বার থামানোর চেস্টা করেন। বোমা ফাটানো এমন মন্তব্যে সভা শেষে ধাক্কাধাক্কি এবং উত্তেজনা দেখা দেয়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ।
পরিচালক হুমায়ুন কবির তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের ভিতরে মোস্তাকরা আছে। এই মোস্তাকদের চিহ্নিত করুন। ১৫ আগস্ট যে হত্যাকান্ড হলো আমাদের রক্ষিবাহিনীর প্রধান কে ছিল। আপনার কি জানেন? তোফায়েল আহমেদ। এখন উনি বলেন আমি ছিলাম না। মোস্তাক শুধু তো মোস্তাক নয়, হত্যার পর বরিশালে উৎসব করেছিল আ স ম ফিরোজ।’
এসময় কেউ কেউ বলেছেন ফিরোজ আপনার এলাকার এমপি। হুমায়ুন তখন বলেন, ‘থাক এগুলো আর বলবো না।’ এক পর্যায়ে মঞ্চে বসা উপাচার্য এধরনের বক্তব্য দিতে নিষেধ করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী কর্মকর্তারা জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামানের ধাক্কাধাক্কি হয়। এ নিয়ে ববি কর্মকতারা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেন। অনেকে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। ক্ষুব্ধ হন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের উপর।
জানা গেছে, পরিচালক হুমায়ুন কবির বাউফলের বাসিন্দা এবং আ স ম ফিরোজ বাউফলের এমপি। সভা স্থলে থাকা ববি উপাচার্যের প্রটোকল অফিসার মো: দিদার হোসেন সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজের জামাতা হওয়ায় অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেন।
জানতে চাইলে ববি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, ‘আলোচনা সভায় হুমায়ুন কবির তোফায়েল ও ফিরোজ এমপিকে নিয়ে তার নিজেস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়েছে, ধাক্কাধাক্কি হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচালক মো: হুমায়ুন কবিরকে ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মো. বদরুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, পরিচালক হুমায়ুন কবিরের মন্তব্যের সময়ে তিনি ফোনে কথা বলছিলেন৷ আমি বিষয়টা আঁচ করতে পারিনি তবে একটা হট্টোগোলের শব্দ পেলাম৷ এ বিষয়ে উপাচার্যের কাছে জিজ্ঞাসা করেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. মো: ছাদেকুল আরেফিনকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, ববি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির সম্প্রতি ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই পরিচালক পদে দায়িত্ব পান। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।