আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, মহান অর্জনের জন্য মহৎ ত্যাগ প্রয়োজন। আর যে কোনো অর্জনের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, সেই ত্যাগ স্বীকার করতে পেরেছি বলেই আমাদের অর্জনগুলো একে একে আমরা জনগণের কল্যাণে আনতে পেরেছি।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই মহান স্বাধীনতায় যারা জীবন দিয়ে গেছেন, রক্ত দিয়ে লিখে দিয়ে গেছেন আমাদের স্বাধীনতার নাম। তাদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না। আমরা বৃথা যেতে দেবো না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। মানুষের এই আত্মত্যাগ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।’
বাংলাদেশে আজকের এই উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন সরকারে আসে তখনই কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে শুরু করে। কারণ ক্ষমতাকে আমরা বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ হিসেবেই পাই। এর মাঝে অনেক চড়াই-উৎড়াই, অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। এটুকু বলতে পারি, ২০০৮-এ নির্বাচিত হয়ে ২০২৩; এই একটানা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই কিন্তু আজকের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তর থেকে আমরা যদি দেখি, বারবার গণতন্ত্র থমকে দাঁড়িয়েছে; গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি; রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকতে পারেনি; কাজেই বাংলাদেশও সেভাবে এগোতে পারেনি। ক্ষমতাসীন যারা ছিল তাদের বাংলাদেশ নিয়ে কী চিন্তা-ভাবনা ছিল সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে,’ বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না সিদ্ধান্ত নিয়ে আজকে আমরা গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। খেলাধুলা, সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা—সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায় তার জন্য যা যা করণীয় আমরা করেছি।’
দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার যেখানে ৪০ ভাগের উপরে ছিল সেখানে আমরা কমিয়ে এনেছি ২০ ভাগে। আরও একটি সুখবর দিতে পারব, আমাদের দারিদ্র্যের হার আরও হ্রাস পেয়েছে। যেটা সঠিকভাবে এখন তথ্য নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পেয়েছি, এটাকে ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলে, ‘কারণ আমরা যা করেছি, সব কিছু পরিকল্পিতভাবে করেছি। কোনো কাজ অ্যাডহোক বেসিসে না। এই পদক্ষেপ নিলে আমার দেশ কোথায় যাবে। কতটুকু আমরা এগোতে পারব। গণমানুষের কতটুকু উন্নতি হবে। একটি সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। একদিকে যেমন আমাদের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা; প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, তারই সঙ্গে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং ঠিক জনগণের কাজে কী লাগবে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।’