শুরু থেকেই তারা ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের ফেভারিট দল। দাবার শেষ চালে ঠিকই দলটি গুরুত্বপূর্ণ চালে নিজেদের ঘরে ট্রফি তুলেছে। বুঝতেই পারছেন বলা হচ্ছে পাকিস্তানের কথা।
ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার তিন বল হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে জয়ী হয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফির স্বাদ গ্রহণ করল পাকিস্তান। এই সিরিজে পাকিস্তান মাত্র একবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে। কিন্তু সে হারই ফাইনালে শেষ পর্যন্ত নিজেদের স্নায়ু শক্ত রাখতে ভূমিকা রাখে।
সিরিজ জিততে পাকিস্তানকে তাড়া করতে হয়েছে ১৬৪ রানের লক্ষ্য। ওপেনিং জুটিতে তাদের ঝুলিতে আসে ২৯ রান। ধীরগতির এই রান সংগ্রহে কিছুটা নিরাশার পথ দেখালেও নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানেই ছিল পাকিস্তানের ব্যাটাররা।
বাবর আজম ১৪ বলে ১৫ রান করে প্রথম উইকেটের শিকার হন। অন্যদিকে ওপেনিং জুটির মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। উভয়ই ফাইনালের আগের দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
প্রয়োজনের সময় হায়দার আলীর ১৫ বলে ৩১ রান দলকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যায়। চতুর্থ উইকেটে নওয়াজ ও হায়দার মাত্র ২৬ বলে ৫৬ রান করে ম্যাচটিকে অনেকটাই পাকিস্তানের অনুকূলে নিয়ে আসে।
ষষ্ঠ উইকেটে নওয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ ২০ বলে ৩৬ রান করে ম্যাচের ইতি টানেন। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ব্লেয়ার টিকনারের ছোড়া বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে জয়সূচক ছয় হাঁকেন ইফতিখার। তিনি ১৪ বলে ২৫ রান করেন।
পাকিস্তানি ব্যাটারদের কেউই ৪০ রান করতে পারেনি। তবে বড় লক্ষ্য তাড়া করার দলীয় প্রচেষ্টা দেখেছে ক্রাইস্টচার্চ।
পুরো সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানো নিউজিল্যান্ডের মাইকেল ব্রেসওয়েল ফাইনালে দুটি উইকেট পান। তবে পরাজয় এড়াতে তার চেষ্টা যথেষ্ট হয়নি।
এর আগে, টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৩৮ বলে ৫৯ রান নিউজিল্যান্ড সাত উইকেটে ১৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তানকে।
প্রথম ওভারের শেষ বলে ওপেনার ফিন অ্যালেনকে হারায় নিউজিল্যান্ড। নাসিম শাহের শিকার হওয়ার আগে তিনি তিনটি চার মেরে ছয় বলে ১২ রান করেন। অন্য ওপেনার ডেভন কনওয়েও ফাইনালে বড় রান করতে পারেননি।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাসিম ও হারিস রউফ।
অস্ট্রেলিয়ায় চলতি মাসে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানের আগে এই জয় নিশ্চিতভাবেই এশিয়ান জায়ান্টদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।