প্রতিবছরই ৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজি ফোটানো নিয়ে চলে আলোচনা- সমালোচনা। এবার পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন যাতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে দুর্ঘটনারোধে বাসাবাড়ির ছাদ ও সব ভবন, উন্মুক্তস্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন আইনজীবী মো.আশরাফ উজ জামান।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাবে।
এছাড়া ইংরেজি নববর্ষ উৎযাপন ঘিরে ফানুষ উড়ানো, আতোশবাজি, পটকা, উচ্চশব্দ রোধে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার দীপংকর বর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেজানানো হয়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী এসব কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রথমবার আইন লঙ্ঘনে এক মাসের জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। পুনরায় অপরাধ করলে ছয় মাসের জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে ঢাকার ক্লাবগুলোতে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। জনস্বার্থের জন্য ক্ষতিকর এ কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকতে সকলের প্রতি অনুরোধও জানানো হয়।