প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো খুব বেশি সংস্কার না চায়, তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, যদি বেশি সংস্কারের প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্বাচনের সময়সূচি আরও ছয় মাস পেছাতে পারে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শফিকুল আলম এসব মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, সরকার মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে কোনো ধরনের চিন্তা-ভাবনা করছে না। একইসাথে, তিনি বলেছেন, যারা লুটপাট, দুর্নীতি এবং ১৯৭১ সালের জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িত, তাদের দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
প্রেস সচিব আরও জানান, রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারের জন্য গঠিত ছয়টি কমিশন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে, সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সরকার ইতোমধ্যে বলেছে, সংস্কার কমিশনগুলো তাদের সুপারিশ দিলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করা হবে এবং এরপর নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
তবে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বারবার নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। এসব দাবির প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য তাদের সম্ভাব্য দুটি সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।