প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক বীজ আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি আরোপ ও কিছু কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সিগারেট, জর্দা ও গুলের দাম বাড়ছে।
সোমবার (০২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থাপিত ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, সিগারেট, জর্দা, গুল ইত্যাদি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক আরোপিত আছে।
অন্যদিকে তামাক বীজ আমদানিতে প্রযোজ্য কাস্টমস ডিউটি ০%, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে আগের এইচএস কোড বিভাজন করে তামাক বীজের জন্য নতুন এইচএস কোড সৃজন করা হবে, যা আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি আরোপ করা যায়।
আরেক প্রস্তাবে বলা হয়, তামাকজাতীয় পণ্যের শুল্ক ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত উপকরণ বা কাঁচামাল বাণিজ্যিকভাবে আমদানি নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সিগারেট উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক-কর হার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তিনগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সিগারেট উৎপাদনের মূল্য কাঁচামাল পেপার আমদানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বস্তি নেই নারীদের প্রসাধনী সামগ্রীতেও। প্রস্তাবিত বাজেটের পর কসমেটিক্স পণ্যে বাড়তি খরচ পড়বে। নারীদের সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহৃত লিপস্টিক, লিপলাইনার, আইলাইনার, ফেসওয়াশ, মেকআপের সরঞ্জাম আমদানির ন্যূনতম মূল্য বিভিন্ন হারে বাড়ানো হচ্ছে।
বর্তমানে প্রতি কেজি লিপস্টিক আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য ২০ ডলার আছে। সেটি বাড়িয়ে ৪০ ডলার করা হয়েছে। এ ছাড়া লিপলাইনার, লিপগ্লোস, লিপজেল এবং এ জাতীয় প্রসাধনীর ক্ষেত্রে আগে কোনো শুল্ক না থাকলেও প্রতি কেজিতে ২০ ডলার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।