ববি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সম্প্রতি দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নানাভাবে বাধা প্রদান ও হামলার সঙ্গে জড়িতের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এতদিনেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হামলাকারীদের মধ্যে কেউ কেউ এখনো নিয়মিত ক্লাস করছেন ও পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনাস্থার জন্ম নিয়েছে।
জানা যায়, গত ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা- রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে গ্রাউন্ড ফ্লোরে মিটিংরত আন্দোলনের সমন্বয়কসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালালে ১৫ জন আহত হয়। এছাড়াও ১ আগস্ট ছাত্র-শিক্ষক সংহতি সমাবেশ করতে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় হয়রানি, হেনস্তা, ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা প্রদান করে ছাত্রলীগ।
গত ২৯ জুলাই সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় আহত আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে আমাদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। প্রক্টরিয়াল বডি নীরব ভূমিকাই বলে দেয় ববির তৎকালীন প্রশাসন হয় ছাত্রলীগের চেয়ে দুর্বল ছিল নয়তো ছাত্রলীগকে মদদ দিচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এসব হামলার ঘটনাকে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নিতে কালক্ষেপণ করে, তাহলে ২৪ এর জুলাইয়ের আহতদের রক্তের সাথে প্রতারণা করা হবে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান জানতে চাইলে ববির অন্যতম সমন্বয়ক শাহেদুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীদের বিচারের বিষয়ে আমরা সোচ্চার আছি। প্রশাসনিক পদগুলো ফাঁকা থাকায় আমরা উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। হামলাকারীদের তালিকা অপরিবর্তিত রয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.শুচিতা শরমিন বলেন, আমি তো এখানে নতুন। বিষয়টি আমি দায়িত্বে আসার আগের ঘটনা। তাই বিষয়টি সম্পর্কে আমার তেমন বিস্তারিত জানা নেই। প্রক্টরিয়াল বডি ও সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে সত্যতা যাচাইপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।