দুই ভাগ করে ফেলা হবে মুসলমানদের প্রথম কিবলা এবং পবিত্র স্থাপনা আল-আকসা মসজিদ। ইসরায়েলের সংসদে এমন প্রস্তাব উত্থাপন করতে চলেছেন ক্ষমতাসীন ইয়ার লিকুদ পার্টির সংসদ সদস্য অমিত হালেভি।
প্রস্তাবনায় এই সদস্য পবিত্র এই মসজিদ এবং এর পাহাড়কে ইহুদি এবং মুসলমানদের মধ্যে দুই ভাগ করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
ক্ষমতাসীন দলের অমিত হালেভি ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘জেমান ইসরায়েল’ এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে নিজের এই পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি প্রস্তাবে বলেন, মুসলমানদের এই চত্বরের দক্ষিণ দিকের ৩০ শতাংশ এলাকা ছেড়ে দেয়া হবে।
এর বাইরে, পুরো উত্তরাঞ্চল এবং মধ্যভাগের ৭০ শতাংশ এলাকায় থাকবে ইহুদিদের প্রবেশ অধিকার। যার মাঝে আছে পবিত্র ডোম অফ দ্য রক বা সোনালী গম্বুজের এলাকাটিও। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে শুধুমাত্র চত্বরের খোলা অংশেই নামাজ আদায় করতে পারবেন ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা।
উল্লেখ্য, আল-আকসা কম্পাউন্ডের মোট আয়তন ১৪ হেক্টর। যার মাঝে আছে সোনালি গম্বুজের ডোম অফ দ্য রক এবং রূপালি গম্বুজের আল-কিবলি হল। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে, এই দুই স্থানই মুসলমানদের প্রার্থনার জন্য নির্ধারিত।
কোন অমুসলিম কিংবা ইহুদিদের এই অংশে প্রবেশ করার কোন অধিকারই নেই। তবে অমিত হালেভির প্রস্তাবনা অনুসারে, এই দুই জায়গা সম্পূর্ণভাবে ইহুদিদের অধিকারে থাকবে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, ইসরায়েলের এমন প্রচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিলো।
এদিকে ইসরায়েলের সংসদ সদস্যের এমন প্রস্তাবনাকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিন সরকার। এর পাশাপাশি নিজেদের মিত্রদেশ তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মিসরের কাছে অভিযোগ দিয়েছে তারা।
রামাল্লায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরায়েলের এমন পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানান ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এমন কিছু বাস্তবায়ন করা হলে যে পরিণতি হবে তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই ইসরাইলে।
তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপ এমন ক্ষোভের সৃষ্টি করবে এবং এর যা পরিণতি হবে সেটি আগে থেকে ধারণা করার কোনো সুযোগ নেই। ফিলিস্তিনিদের কাছে আল-আকসা মসজিদের যে ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে তার কোনো তুলনা হয় না।