অর্থ পাচারের মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে মঙ্গলবার নোটিশ জারি করেছেন হাইকোর্ট।
নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করেন।
আগামী ২৩ অক্টোবর মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে দুদকের আইনজীবী এ আবেদন করেন।
গত ২২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো.আসিফুজ্জামান অর্থ পাচার মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন।
তার শারীরিক অবস্থা খারাপের কথা বিবেচনা করে ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় তাকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দেন আদালত।
এর মাধ্যমে সম্রাট চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন এবং তার মুক্তিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
জামিনের শর্ত হিসেবে বিচারক তাকে তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলেছেন এবং তাকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আদালতের অনুমতি নিতেও বলা হয়েছে।
সম্রাট ১০ এপ্রিল অর্থ পাচার মামলায় এবং ১১ এপ্রিল মাদক মামলায় ও অস্ত্র আইনের একটি মামলায় জামিন পান।
বহিষ্কৃত এই যুবলীগ নেতা গত বছরের ২৪ নভেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কারাগারে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০১৯ সালের অক্টোবরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব।
পরদিন র্যাব তার কাকরাইল কার্যালয়ে অভিযান চালায়। তার কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল এবং দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া জব্দ করা হয়েছে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি অভিযোগ দায়ের করেন র্যাব-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল খালেক। আরমানকে মাদক মামলার আসামি করা হয়।
শেখর চন্দ্র মল্লিক নামে একজন উপপরিদর্শক অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
জ্ঞাত আয়ের বাইরে দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন সিআইডির উপপরিদর্শক রাশেদুর রহমান। গত নভেম্বরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।