দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
সোমবার রাজধানীর বনানীতে পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা সাইবার মনিটরিং করছি। গোয়েন্দা নজরদারি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে ।’
নিখোঁজ থাকা ৫০ থেকে ৬০ জন যুবকের পক্ষ থেকে কোনও হুমকি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনও হুমকি নেই, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন যে তারা মৌলবাদী দলে যোগ দিয়েছে।
‘তারা যতই স্মার্ট হোক না কেন, তারা সফল হবে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন যে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নিখোঁজ যুবকদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছেন যারা তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পূজা শেষে আমরা কিছু ভালো ফল দেখতে চাই। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি’।
দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে র্যাব।
১ অক্টোবর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
পূজা মণ্ডপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং অভিযান চালানোর পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট সার্বক্ষণিক কাজ করছে বলে জানান মহাপরিচালক।
এ বছর শনিবার সারাদেশের মন্দিরে দেবীর অবতারণার (বোধন) মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজা।
৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব। বাংলাদেশের ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের প্রায় ৮ শতাংশ হিন্দু।