নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজের বাবাকেই আহত অবস্থায় খুঁজে পান স্থানীয় সাংবাদিক রাহিদুল ইসলাম। বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারেননি তিনি। রাজশাহীতে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান তার বাবা মজিবর রহমান (৫৫)।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বড় হরিশপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাপ্তাহিক সংবাদ শৈলী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রাহিদুল ইসলাম।
অনলাইন লাইভ কাভারেজের জন্য অবস্থান নেওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছিলেন তিনি।হঠাৎ আহতদের মধ্যে একজনকে দেখে রাহিদুলের মনে হয়, তিনি তার বাবা মজিবর রহমানের মতো। কাছে গিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর হতবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। সময় নষ্ট না করে বাবাকে নিয়ে ছুটে যান নাটোর সদর হাসপাতালে।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পুঠিয়া এলাকায় পৌঁছাতেই অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মজিবর রহমান।
লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় যুক্ত আছেন রাহিদুল। স্থানীয়ভাবে তিনি মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদনে যুক্ত।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মাহাবুর রহমান জানান, ভোরে বড় হরিশপুর এলাকায় একটি ট্রাক সিএনজি অটোরিকশাকে পাশ থেকে ধাক্কা দিলে অটোরিকশাটি ছিটকে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও সিএনজি নিয়ে চালকরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে।