প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য ও ওষুধসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে জনগণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে আরও বন্যার আশঙ্কা থাকায় যেকোনো সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সিলেট সার্কিট হাউসে জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, তার সরকার সমগ্র সিলেট অঞ্চলের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়েছে।
সিলেট অঞ্চলে টানা তৃতীয়বারের মতো বন্যা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথভাবে কাজ করছে।
চলমান বন্যাকে নতুন কিছু নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তার দলের নেতাকর্মীরা সব ধরনের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকেন।
১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বড় বন্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রতি দশ বা বারো বছরে ব্যাপক বন্যা হয়।
হাওর এলাকায় রাস্তা নির্মাণের কথা বলতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় আর স্বাভাবিক সড়ক থাকবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তিনি দেশের মধ্যাঞ্চলে এবং পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করছেন এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বন্যার সময় ও পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার ও ওরাল স্যালাইন দেবে, এছাড়া বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর ধান উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।
বন্যার পানি কমলে পানিবাহিত রোগ এড়াতে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।