কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী নলুয়ার খেলার মাঠটি উপজেলার সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ। বিশাল এ খেলার মাঠটিতে প্রতিদিন আশেপাশের এলাকার ছোট বড় শিশু, কিশোর ও যুবকরা ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত সময় পার করেন। মাঠের চারপাশে খেলার দৃশ্য দেখে মনে হবে কোন ক্লাবের খেলার অনুশীলন ও প্রক্টিস চলছে। এমন দৃশ্য শুধুমাত্র বছরের কয়েক মাস দেখা যায়।
আর বছরের অধিকাংশ সময় মাঠটি এলাকার প্রভাবশালীদের দখলে থাকে। জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাঠ ও মাঠের পাশের পুকুরটি দখল করে বছরের অধিকাংশ সময় মাছ চাষ, মাটি কেটে নেয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, অনেক বছর আগে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা নিয়ে দুই গ্রুপের মারামারি হয়। সেই ঘটনায় মামলা হলে ধামতীর ঐতিহ্যবাহী নলুয়ার খেলার মাঠে আর কোন টুর্নামেন্ট গড়ায়নি। তবে বিকেল হলে এলাকার শিশু, কিশোর ও যুবকেরা ফুটবল, ক্রিকেট খেলেন। তবে এ চিত্র মাত্র বছরের কয়েক মাস দেখা যায়। বাকিটা সময় মাঠটি স্হানীয় প্রভাবশালী শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়ার দখলে থাকে। তিনি মাঠটির একপাশের গর্তে ও পুকুরটিতে মাছ চাষ করেন।
গত কয়েক বছর ধরেই তার দখলে রয়েছে সরকারি এ সম্পত্তি মাঠ ও পুকুরটি। এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে মাঠের একপাশ থেকে মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে স্হানীয় মিজানুর রহমান চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মাঠ ও পুকুরটি তিনি নলুয়ার মসজিদ ও সুয়া শাহ’র মাজার কমিটি থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বছরের জন্য বন্ধক নিয়েছেন। সেই সুবাদে তিনি এগুলো অবৈধ দখল আছেন।
এ বিষয়ে সরকারি সম্পত্তি মসজিদ ও মাজারের নামে বন্ধক বা কট দেয়ার বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোন কথা বলেননি। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এভাবেই চলছে বলে জানান।
মাঠ থেকে মাটি কেটে নেয়ার বিষয়ে মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত বছরে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় তিনি স্হানীয়দের দাবীর মুখে মাঠের সাথে রাস্তা মেরামত করে দেন মাঠের মাটি দিয়ে। কিন্তু মাঠ থেকে অন্যাত্র মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ থাকলেও তিনি তা অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রায়হানুল ইসলাম বলেন, মাঠ ও মাঠের সাথে পুকুরটি মূলত মাঠেরই অংশ। পুরো সম্পত্তিটি সরকারি জায়গা। তিনি আরও জানান মাঠ ও পুকুরটি অবৈধ দখলের বিষয় এমন কোন অভিযোগ বা অবগত না। অবৈধ দখলের বিষয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।