জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শেখ রাসেল হল ও শহিদ রফিক জব্বার হল সংলগ্ন রাস্তার উপর নির্মিত দেয়াল ভাঙা কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকটি পেট্রোল বোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত রাত ৯ টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত বারোটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে।
জানা যায়,২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট ও ভোগান্তি নিরসনে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রদের জন্য শেখ রাসেল হল খুলে দেয়। কিন্তু এর আগেই প্রশাসনের সঙ্গে দেনদরবার নিয়ে বসে শহিদ রফিক-জব্বার হলের ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আপত্তি সত্ত্বেও ২৮ জানুয়ারি দুই হলের মাঝখানের রাস্তায় আন্দোলনকারীরা দেওয়াল তুলে দেয়। যার ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে শেখ রাসেল হল এবং পরবর্তীতে শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী।
এ সমস্যা নিরসনে ৬ মার্চ প্রাধ্যক্ষ ও উপাচার্য বরাবর শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানতে পেরে দেয়ালটিতে বঙ্গবন্ধুর চিত্রকর্ম আঁকার প্রস্তুতি নেয় শহীদ রফিক জব্বার হল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা দেয়াল ভাঙতে শুরু করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করলে দুই হলের মধ্যবর্তী স্থান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় দুই হলের বেশ কয়েকটি কক্ষের জানালা ভেঙ্গে যায়।
এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, আমি একটা ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলাম৷ এখন হলে এসেছি। আমার শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার জন্য বলেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা করছি।
শহীদ রফিক জব্বার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহেদ রানা বলেন, আমি হলে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমি খবর পাওয়ার প্রক্টরিয়াল টিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।