দেশের বেশিরভাগ জায়গায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। কনকনে হিমেল বাতাসে শীতের প্রকোপ বাড়ানোর পাশাপাশি, ইতোমধ্যে সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সকালবেলা শীতের অনুভূতি তীব্র হলেও, আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা গতকাল ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭, যা গতকাল ছিল ১৩.৮। রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে ৯.৭, ময়মনসিংহে ১৪.২ এবং সিলেটে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, কুষ্টিয়া এবং রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শৈত্যপ্রবাহের মানদণ্ড অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮.১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হয়। একইভাবে ৬.১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি এবং ৪.১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বিস্তৃতি পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের এলাকায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং কিছু অঞ্চলে আংশিক মেঘলা আকাশও থাকতে পারে।
মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, যা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, চলতি মাসে ৩ থেকে ৫টি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে এবং দিনে ও রাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।