প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্প রেল ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন-১ (এমআরটি-১) এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে এমআরটি লাইন-১ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
২০২৬ সালের মধ্যে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পাতাল ও এলিভেটেড সুবিধা সম্বলিত এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করা হবে।
প্রথম পাতাল মেট্রো লাইনে দুটি অংশ থাকবে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর (বিমানবন্দর রুট) পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত প্রায় ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইন।
বিমানবন্দর-কমলাপুর অংশে ১২টি স্টেশনসহ ১৬ দশমিক ৪ কিলোমিটার পাতাল ও নতুন বাজার-পূর্বাচল অংশে সাতটি স্টেশন থাকছে।
২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীতে মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে।
এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়নে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জাইকা) ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে নেয়া হবে।
এমআরটি লাইন-১ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১২টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে বিরতি নিয়ে মাত্র ২৫ মিনিট এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত সাতটি স্টেশনে বিরতি নিয়ে ২১ মিনিট সময় লাগবে।
এছাড়া কমলাপুর থেকে নতুন বাজার স্টেশনে ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে ১৬টি স্টেশনে বিরতি দিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে যাত্রীরা পূর্বাচলে পৌঁছাতে পারবেন।
এলিভেটেড ও পাতাল উভয় স্টেশনেই লিফট, সিঁড়ি ও এসকেলেটর থাকবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৯ সালে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা-আগারগাঁও অংশে (উত্তরা-আগারগাঁও-ফার্মগেট-টিএসসি-মতিঝিল-কমলাপুর) দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার উদ্বোধন করেন। মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি-৬ লাইনের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ও ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।
এমআরটি-৫ (উত্তর রুট) এর নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে উদ্বোধন করা হবে। এমআরটি-৫ লাইনটি সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী, মিরপুর ও গুলশান হয়ে ভাটারা পর্যন্ত হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক ও জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদে ইচিগুচি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।