আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটিই আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এমনটা জানান। এদিন সন্ধ্যা ৭টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এ দেশটা জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট করতে হবে না, সবাই যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, সমৃদ্ধশালী জীবন পায়- সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য; সেটাই করতে চাই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের সম্মেলন হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমরা কমিটি করেছি। নিয়ম অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা আমাদের সদস্যদের নির্বাচিত করবো। এই সংগঠনটাই আমাদের বড় শক্তি এটাও মাথায় রাখতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে আর মানুষের আস্থা-বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারে- তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন কাজ হয় না; এটা হলো বাস্তবতা। সে বাস্তবতা নিয়েই আমরা কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, ইনশাল্লাহ,আমাদের যে লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ সেটা কীভাবে করবো, কী কী ক্ষেত্রে করবো তা আমি আগেও বলেছি। অর্থাৎ আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট জনগোষ্ঠী, সেটাই আমরা করতে চাই।
করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এসব ধাক্কা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে না এলে আজকের বাংলাদেশকে আমরা আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতাম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৫ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্ল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিমিন হোসেন রিমি।