দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমাদের যে সরকার রয়েছে তারা সে সময় রুটিন ওয়ার্ক করবে। তবে মেজর ডিসিশন নিতে পারবে না। নির্বাচনে যেসব মন্ত্রণালয়-দপ্তর সংশ্লিষ্ট রয়েছে সেসব নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।
আজ রোববার (৭ মে) দুপুরে বনানীর সেতুভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) বোর্ড সভা শেষে এক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি একটি বায়াসড (পক্ষপাতমূলক) তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। যারা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। এ ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ চায় না। তত্ত্বাবধায়ক নামক মৃত ইস্যুকে জীবিত করতে চাই না।
তিনি বলেন, অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩ মাসের কথা বলে দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের কাম্য ছিল না। জনগণ তা চায়নি। তখন আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বাছাই করে তাদের ওপর হামলা করেছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন অনেক স্বাধীন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংস্থা করতে নির্বাচন কমিশনের জন্যে আইন পাস করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ধীরে ধীরে নির্বাচন কমিশন ত্রুটিমুক্ত হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের এই প্রক্রিয়া অনেক গণতান্ত্রিক। সময়ের সাথে সাথে আরও পারফেক্ট (শুদ্ধ) হবে, ত্রুটিমুক্ত হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বৈশিষ্ট্য ছিল সেটা ২০০৭ সালে নষ্ট হয়েছে। অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩ মাসের কথা বলে দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। এ ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাম্য ছিল না। জনগণ তখন তা চায়নি।
২০০৭ সালের ৭ মে- এই দিনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ওয়ান ইলেভেনে সরকার তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি যেন না আসতে পারেন (বিদেশ থেকে) পল্টন থানায় মামলা দিয়ে আসার পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। মামলা দিয়েও হুলিয়া জারি করা হয়। নেত্রীকে আটকানোর জন্যে, তিনি যেন না আসেন সেজন্য এটা করা হয়েছিল।
‘বিমানের টিকিট বিক্রির ব্যাপারে বলে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশগামী বিমানের টিকিট যেন না দেওয়া হয়। সাহসিকতার সঙ্গে তিনি ফিরে এসেছিলেন। তিনি পিছু হটেননি’, বলেন তিনি