গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে ৪৬টি টেলিভিশন চ্যানেল চালানোর জন্য বাজারে পর্যাপ্ত সুযোগ নেই। তিনি বলেন, দেশে গণমাধ্যমের শৃঙ্খলা আনার জন্য রাজনৈতিক দলের প্রভাব কমানোর প্রয়োজন। সঠিকভাবে সংবাদমাধ্যম পরিচালিত হলে সেগুলো বেশি কার্যকর হবে এবং জনগণের জন্য উপকারী হবে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কামাল আহমেদ। সভায় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলার সংবাদপত্র, টেলিভিশনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমের প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কামাল আহমেদ বলেন, একই মালিকের অধীনে একাধিক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল চলছে, এবং পাঠক একই বিষয় বারবার পাচ্ছেন। এসব গণমাধ্যমের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে হবে এবং দুষ্টু চক্র ভেঙে ফেলা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপারিশ গ্রহণ করা হবে, পরে সেটি সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা মানা হচ্ছে না। অনেক সময় অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো ব্যক্তি উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পাদক হয়ে যাচ্ছেন।” মফস্সল সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সাংবাদিকরা দাবি করেন যে, সব পত্রিকার আয় সমান না হলেও, অন্তত একটি ন্যূনতম বেতন কাঠামো করা উচিত, যাতে মফস্ল সাংবাদিকরা সঠিকভাবে পারিশ্রমিক পান।
কামাল আহমেদ এই বিষয়ে মন্তব্য করেন, এটি একটি ভালো প্রস্তাব। যদি ন্যূনতম বেতন কাঠামো তৈরি করা যায়, তবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা তাদের কাজের ভিত্তিতে সঠিক বেতন পাবেন।
সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মামলা প্রসঙ্গে কামাল আহমেদ বলেন, ১৯৮৩ সালে প্রেস কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছিল, জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে সাংবাদিকদের হয়রানি করা যাবে না। তবে আমাদের কমিশন তদন্ত কমিটি নয়, আমরা আপনারা যে সুপারিশ করবেন, সেটি বিবেচনা করব।
এই সভায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, আবদুল্লাহ আল মামুন ও মোস্তফা সবুজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, কক্সবাজার প্রেসক্লাব, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নসহ স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।