তিন দফা দাবিতে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন পেট্রোল পাম্প ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক। তিনি বলেন, দাবি যৌক্তিক, ধর্মঘট অযৌক্তিক।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাজমুল হক বলেন, শ্রমিকেরা ডিপো বন্ধ করেছে, তারা কেন বন্ধ করবে? কারও কোনো উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এই সুযোগ নিয়েছে তারা! আজ ধর্মঘটের প্রথম দিন। সরকার হয়তো অ্যাকশনে যাবে কালকে। আজকে রাতের মধ্যেই তারা চলে যেতে পারে।
কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এতে করে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এ ধর্মঘট পালন করছে।
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতা মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। দাবিগুলো অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। দাবি পূরণে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করায় রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা।
২. জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা।
৩. জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।