ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে একশ্রেণির অপরিনামদর্শী অসাধু চক্র ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান।
দেশের কওমি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এই সংগঠনের মহাসচিব বলেন, এ ধরনের ষড়যন্ত্র ২০১৬ সালেও একবার হয়েছিল। তখন হেফাজতের দাবির মুখে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে সরকার বাধ্য হয় ।
গতকাল সোমবার সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজত মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ধর্মবিষয়ক পরীক্ষা তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে ধর্ম শিক্ষা বই পাঠ্যপুস্তকে থাকলেও পরীক্ষায় না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুত্ব হারাবে। তাই ধর্মবিষয়ক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
এসময় গ্রেফতারকৃত আলেমদের দ্রুত মুক্তি ও হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে হওয়া সব মামলা প্রত্যাহাররের দাবি জানিয়ে হেফাজতে মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ২০২১ সাল থেকে অনেক আলেম-উলামা বন্দি অবস্থায় আছেন। নিরীহ আলেমদের অনেকে অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে বন্দি আছেন। তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এছাড়াও হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন হেফাজতের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই দাবি করে তিনি বলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও জুনাইদ বাবুনগরী অরাজনৈতিক অবস্থানে থেকে এই সংগঠন পরিচালনা করে গেছেন। আমাদের তাদের পথ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল কাইয়্যুম সুবহানী।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জহুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতী কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি কামাল উদ্দীন, মুফতি মুনিরুজ্জামান, মাওলানা আবদুল্লাহ ইয়াহহিয়া প্রমুখ