দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে আরো শক্ত ভূমিকায় নামছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সব ধরনের ঘৃণাজনিত ও কটূক্তির বিরুদ্ধে রাজগুলোকে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসার আগেই উত্তরখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশে স্বপ্রণোদিত আইন জারির করতেও বলা হয়।
সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা নিয়ে করা একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এসব কথা বলেন।
রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করে আদালত জানিয়েছে, ‘এই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে কেউ দ্বিমত জানালে সেটা আদালত অবমাননা হিসাবে দেখা হবে। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘
কেরালার কোঝিকোড়ের বাসিন্দা শাহীন আবদুল্লাহর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
গত ১০ অক্টোবর রাজধানীতে ভিএইচপি-র দিল্লি ইউনিট এবং স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলো আয়োজিত এক হিন্দু সভা এবং ধর্ম সংসদের কিছু অনুষ্ঠানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়েও আদালত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড প্রদেশে যারা এমন বক্তব্য দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত জানায়, যে বা যারা এই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বেঞ্চের আদেশের আগে বিচারপতি জোসেফ বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা ধর্ম নিয়ে পড়ে আছি। আমরা ধর্মকে ছোট করছি। এটা দুঃখজনক। ‘