ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার নামে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী পুলিশের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে নারী-পুরুষসহ ৬০-৭০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে বাধা দেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে।
পরিকল্পিত হামলার কৌশল
বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশের অনুরোধ মানেনি, বরং তারা পুলিশের ওপর উদ্ধত ও মারমুখী আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে নারী পুলিশ সদস্যদের নখের আঁচড়ে আহত করে এবং ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয়। এরপর হঠাৎ করেই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়—যা সুপরিকল্পিত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আহত পুলিশ সদস্যরা
এ হামলায় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এছাড়া, রমনা ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য ও তিনজন পুরুষ কনস্টেবলও আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের দায়িত্বশীলতা
পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। তবে যেভাবে একটি বিশেষ গোষ্ঠী এই আন্দোলনের আড়ালে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে, তা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি
পুলিশ জানিয়েছে, এই উসকানিমূলক হামলার পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নাম করে একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছে। অতীতেও এই গোষ্ঠী এমন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছিল বলে অনেকে মনে করছেন।