অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন করে গতকাল তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ তবে এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এবং বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও বিতর্ক চলছে। অনেকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এবং কেউ কেউ উপদেষ্টা বাছাইয়ে ‘অঞ্চল প্রীতি’র অভিযোগ তুলেছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করে তিনি লিখেছেন, ‘খুনি হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে।’
এদিকে, উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চাই আপনারা দ্রুত তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ছাত্র-নাগরিকদের অংশগ্রহণ ছাড়া যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তা মেনে নেওয়া হবে না। দ্রুত এই সিদ্ধান্তের সমাধান চাই।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘যারা ধানমন্ডি ৩২ কে কাফেলা মনে করে তাদেরকে উপদেষ্টা নিয়োগ করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবন দিয়েছে। তারা বিপ্লব করেছে রাষ্ট্রের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য। কিন্তু শিক্ষার্থীদের রক্তকে পুঁজি করে, শ্রমিকের রক্তকে পুঁজি করে, সাধারণ মানুষের রক্তকে পুঁজি করতে আপনারা যদি মনে করেন উপদেষ্টা হবেন, পদ বাগিয়ে নেবেন তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন।’
গতকাল রোববার (১০ নভেম্বর) সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন মাহফুজ আলম, শেখ বশিরউদ্দীন এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই নিয়োগের পর উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি বিএনপি ও অন্যান্য দলের কর্মী-সমর্থকরাও সেখ বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজের গতি ও দক্ষতা বাড়াতে এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে নতুন উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে কাজের চাপ কমাতে এবং কার্যক্রমে গতি আনতে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় নিয়োগ করা হয়েছে।’
উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রসারণের ফলে সরকারের কাজের গতি বাড়বে বলেই সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।