ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে মেট্রোরেলে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রীসেবা সমন্বয় করা হবে।
বুধবার (২৪ অগাস্ট) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক যাত্রাপথে বাস থামার স্থান পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এমনটা জানান।
মেয়র তাপস বলেন, এই শাহবাগ একটি অত্যন্ত জনবহুল ও ব্যস্ত এলাকা। এখানে যেহেতু মেট্রোরেলের নামার ২টি স্থান হবে, তার সাথে সাথে যদি আমরা ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রী সেবাটা মেট্রোরেলের সাথে সমন্বয় করতে পারি, তাহলে সব ক্ষেত্রেই যাত্রীরা মানসম্পন্ন সেবা পাবে। এই সমন্বয় করার জন্যই আমরা এসেছি এবং আমরা দেখেছি এখানে সাংঘর্ষিক কিছু হচ্ছে না।
এখানে সুন্দরভাবে সমন্বয় করে কাজটি করা যাবে উল্লেখ করে মেয়র তাপস আরও জানান, মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর শাহবাগে ২টি বাস-বে/ যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হবে। এখানে হাঁটার পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হবে এবং একটি সারি সম্পূর্ণরূপে বাসের জন্য রাখা হবে। মেট্রোরেল থেকে যারা নামবেন, তারা যেন স্বাচ্ছন্দে বাসের সেবা নিতে পারেন এবং অন্যান্য গন্তব্যস্থলে যেতে পারেন, সেজন্য এখানে দুটো যাত্রী ছাউনি হবে। একটি এপারে এবং আরেকটি ওপারে।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলের কারণে এই দুটো যাত্রী ছাউনি নির্মাণে আমাদের একটু সময় লাগবে। আপাতত এখানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করবো না। মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হলে আমরা এই দুটো যাত্রী ছাউনি/বাস-বে আমরা চালু করবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ঢাকা শহরের সব কিছুর পরিচালনা একটি সূচির আওতায় আসতে হবে। সে লক্ষ্যে আমরা একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট সবাই আমাদের সহায়তা করবে। কারণ ঢাকাকে আমরা একটি সুষ্ঠু সময় সূচির মাধ্যমে পরিচালনা করতে চাই। এটাই সারাবিশ্ব করে।
দক্ষিণ সিটির এই মেয়র বলেন, প্রত্যেকটা শহরের একটি সময়সূচি থাকে। কিন্তু ঢাকা শহরের কোনো সময়ই কোনো সময়সূচি ছিল না। এটাই আমরা চাচ্ছি, ঢাকার একটি সময় সূচি নির্ধারিত হবে। এ লক্ষ্যে আমরা গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে এটা কার্যকর হবে। আমি আশা করবো, সবাই এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।
ওষুধের দোকান এবং ওষুধ সেবাকে আমরা সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, অলিগলি, বিভিন্ন এলাকায় সেগুলোকে আমরা ১২টা পর্যন্ত খোলা রেখেছি। আর যেগুলো হাসপাতালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেগুলোকে আমরা ২টা পর্যন্ত খোলা রেখেছি। আমরা মনে করি, এটা যথেষ্ট। সর্বোচ্চ সময় ওষুধ এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতকে দেওয়া হয়েছে।
এরপরই ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে চলমান পুনঃখনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন– করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড.এস এম সালেহ উদ্দিন, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।