আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন গণতান্ত্রিক উপায়ে হয়েছে বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। এটা এদেশে বিরল। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। বাকিটা তিনি তার কর্মে প্রমাণ করবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬১তম মৃৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে নতুন রাষ্ট্রপতি ভূমিকা রাখবেন কি না, মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন সংশয়ের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রপতি নতুন এসেছেন। আমরা মনে করি রাষ্ট্রপতি পরিবর্তন যে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক উপায়ে হয়েছে এটা দেশে বিরল ঘটনা। তিনি মনে প্রাণে একজন বাঙালি। গণতন্ত্র, দেশপ্রেম, সবই তার চেতনায় আছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। তার সম্পর্কে আমি এটুকু বলতে চাই, বাকিটা তার কর্মের দ্বারা তিনি প্রমাণ করবেন। তিনি কতটা যোগ্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত একজন খাঁটি বাঙালি ছিলেন। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের উত্থাপক ছিলেন। তার সবচেয়ে বড় অবদান এ দেশের কৃষক সমাজের জন্য, প্রজাতন্ত্র আইন পাস করেছেন। ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে বাংলার ঋণে জর্জরিত কৃষক সমাজকে স্বস্তি দিয়ে গেছেন। তার এই অবদান বাংলার শ্রমজীবী কৃষক এখনো ভুলতে পারে না। শেরে বাংলাকে মনে পড়লে তার অবদানের কথা মনে পড়ে। তিনি কিছু কথা বলে গেছেন যেটা আমরা স্মরণ করতে পারি।
তিনি বলেন, শেরে বাংলাকে আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী নেতা, মানবতাবাদী নেতা হিসেবে তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়ীক চেতনায় তিনি কাজ করে গেছেন।
সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো বাংলাদেশে রাজনীতিকে নখের আঘাতে জর্জরিত করছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আজকে আমরা অসম্প্রদায়, মানবতাবাদী চেতনা এক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
‘শেরে বাংলার মাজার সংস্কারের ব্যাপারে আমি পূর্ত মন্ত্রণালয়কে বলবো। এই মাজার সংস্কার করা দরকার। এটা আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালাকে জানাবো’, বলেও উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে দলের অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ আগাগোড়া যে অবস্থান নিয়ে থাকে সেই অবস্থানে অব্যাহত থাকবে। নতুন করে কিছু বলার নেই। সময় এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।