দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছি। তারা (সরকার) ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছে। সমাবেশকে বানচাল করতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে।’
বুধবার বিকালে নয়াপল্টনে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত করতে ডিএমপি কমিশনার আমাকে নয়াপল্টনে আসতে বলেছেন। অথচ আসার পরে আমাকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
বিকেল ৩ টায় নয়াপল্টনে বিএনপি ও পুলিশের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হবার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি এ সময় ভেতরে ঢুকতে গেলেও পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। পরে প্রায় ২০ মিনিট পর তাকে কার্যালয়ে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে কার্যালয়ে প্রবেশ না করে সামনে বসে পড়েন তিনি।
এর আগে, সকাল থেকেই নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন এই সংঘর্ষ শুরু হলো। আজ সকাল থেকেই পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে।এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনীতি। বিএনপি পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে সরকার পল্টনে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে এ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমাবেশ করতে চাইছে না বিএনপি।