মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) শেষ হতে চলল ফারুক আহমেদ অধ্যায়। তার সভাপতি পদে থাকা নিয়ে এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতা বাকি। গেল আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন শেষে ফারুককে পরিচালক পদে মনোনীত করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
তবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনএসসি।
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নতুন করে কাউন্সিলর মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তবে গঠনতন্ত্রের ১২.৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেটার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি বা বৈধতা আসবে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে গৃহীত হলে। শোনা যাচ্ছে, অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচনের আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বুলবুল।
হঠাৎ করে বিসিবিতে আসা ও এর নেপথ্য বিষয় নিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে কথা বলেছেন।
দীর্ঘমেয়াদে বিসিবিতে থাকতে চান না জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলছেন, ‘আমার প্রাথমিক লক্ষ্য স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সেরা ক্রিকেট বোর্ড তৈরি করা। আমি (বিসিবির) পরবর্তী নির্বাচনে থাকতে আগ্রহী নই। সরকার আমাকে এখানে চেয়েছিল, আমি হ্যাঁ বলেছি। এখন এটা কেবল প্রক্রিয়া অনুসরণেরই ব্যাপার।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিসিবিতে পরিচালক মনোনয়ন ও প্রত্যাহার করার এখতিয়ার রয়েছে। এ বিষয়ে বুলবুল বলেন, ‘আমি জানি না বিসিবিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হবে। বোর্ডের গঠনতন্ত্রের সঙ্গেও আমি পুরোপুরি পরিচিত নই। আমার মনে হয় আমি ক্রীড়া পরিষদ আমাকে পরিচালক হিসেবে মনোনীত করেছে, এখন বিসিবি সভাপতি পদে নির্বাচিত করার বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদের হাতে।’
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল বর্তমানে আইসিসির ডেভলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। বিসিবিতে আগমনের বিষয়টি নিয়ে আইসিসি থেকেই পেয়েছেন সবুজ সঙ্কেত, ‘আইসিসি আমাকে বলেছে “আপনি স্বাধীন, আপনি বাংলাদেশে গিয়ে যতদিন প্রয়োজন কাজ করতে পারেন। আবার ফিরে আসতে পারবেন যেকোনো সময়ে। আপনার জন্য সবসময় এই দরজা খোলা।” এশিয়ান দলের একমাত্র সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আইসিসির এই অনুমোদনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’