পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাসায় ‘মাদক পাওয়ার ঘটনায়’ ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ মিশনের উপপ্রধান কাজী আনারকলিকে ঢাকায় প্রত্যাহার করে আনার ঘটনা আমাদের জন্য ‘বিব্রতকর’।
মঙ্গলবার(২ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এমনটা জানান। তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করছি। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। আমরা এটা ইনভেস্টিগেট করছি। নিউজটা আমরা দেখেছি, নিউজটা শুধু দেখার বিষয় না, আমরা সেই কর্মকর্তার বিষয় কয়েক দিন আগ থেকেই জানি।
সম্প্রতি এ ইস্যুতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়া সরকারের মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি কূটনীতিক আনারকলির অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায়।
খবরে বলা হয়, বাসায় ‘বিপুল পরিমাণ মারিজুয়ানা রাখার’ অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ায় আনারকলিকে আটক করা হলেও ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনৈতিক দায়মুক্তির কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ইন্দোনেশিয়া সরকারের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে এই কূটনীতিকের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র ক্যাডারের যে হাই স্ট্যান্ডার্ড, এটার সাথে আমরা কখনোই কমপ্রোমাইজ করব না। তদন্তে যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ বিষয়ে এটুকু বলতে পারি।
কূটনৈতিক দায়মুক্তি থাকলেও আনারকলির বাসায় অভিযান চালানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এখানে কোনো ভুল নাই। এবং সেই বাসায় আরেকজন বিদেশি নাগরিক ছিল বলে আমরা শুনেছি।
সেক্ষেত্রে পুলিশ যেতে পারে।
ইন্দোনেশিয়া সরকারকে এ ইস্যুতে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা সহযোগিতা করেছেন আমাদের। এবং আমাদের ডিপ্লোম্যাট আমাদের কাস্টডিতে আছেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছেন। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি, এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। এবং সঠিক পথেই সেটা যাবে।
মারিজুয়ানা উদ্ধারের ঘটনায় আনারকলির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আটক অন্যজন নাইজেরিয়ার নাগরিক বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।
এ ঘটনায় কোন প্রেক্ষাপটে সরকার ’বিব্রত’- জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমাদের একজন কর্মকর্তা এটার মধ্যে ইনভলভড, এটাকে স্টোরি বলি বা ঘটনা বলি, বা ইনসিডেন্টই বলি, তিনি এটার মধ্যে ইনভলভড।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি (আনারকলি) নিজে করেছেন, না তার বন্ধু করেছে- সেটা পরে তদন্তে আসবে। কিন্তু পুরো জিনিসটা দুর্ভাগ্যজনক ও বিব্রতকর।