দেবীদ্বার প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবীদ্বারে একটি স্কুল প্রধান শিক্ষক নারী কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকের সময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার(৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দেবীদ্বার উপজেলার ৯ নং গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই বৈঠক চলাকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠি নিয়ে শোডাউন দিতে শুরু করলে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অস্থিরতা চলতে থাকে এবং স্কুলভবনের ভেতর অবরুদ্ধ থাকেন প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম গত সোমবার রাতে এক নারীর সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অবস্থায় দেবীদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুরে জনতার হাতে আটক হন। এ খবর দ্রুতই স্কুল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরদিন মঙ্গলবার ও বুধবার স্থানীয়রা তার অপসারণ ও শাস্তির দাবী করে।
গত বুধবার সকালে বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম বিদ্যালয়ে আসছেন এমন খবরে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা ও অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারির অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবীতে বিদ্যালয় ঘেরাও করে। এতে স্কুল ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. মহিউদ্দিন শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক মণ্ডলী, অভিভাবক ও এলাকার কর্তা-ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বিদ্যালয়ে সালিসের মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাবে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসে ইউপি চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও কর্তা ব্যাক্তিবর্গ বৈঠকে বসলে, স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককের অপসারনের দাবীতে আবারো অফিস অবরোধ করে নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে বের করে দিতে বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিতে শুরু করলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৈঠক স্থগিত রেখে সন্ধ্যায় স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মমিনুল হক সরকার সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের স্থগিত হওয়া বৈঠকের কার্যক্রম চলছে। রাতেই আমরা বৈঠকের সকলের মতামতের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’