৭৬ বছর বয়সে চলে গেলেন প্রেম আর দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ। নিঃসঙ্গ অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়৷
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিএসএমএমইউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানী শাহবাগে অবস্থিত সুপার হোমের বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় হেলাল হাফিজের। কর্তৃপক্ষ তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তখন তিনি মৃত ছিলেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন কব হেলাল হাফিজ। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন।
আগামীকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাদ যোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে হেলাল হাফিজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪৮ নেত্রকোণায় জন্ম দ্রোহের এই কবির।
তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি।
লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন।
১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জ্বলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।
নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলেন সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে।
২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।