রাজধানীর নিউমার্কেট সংলগ্ন নিউ সুপার মার্কেটে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে র্যাব, পুলিশ, নৌ, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা।তবে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে সময় লাগবে। বর্তমানে ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিজি।
এদিকে এ আগুনের ঘটনায় ফুটওভার ব্রিজ ভাঙাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার সময় শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগে যায়, যেটা আর নেভানো সম্ভব হয়নি। আমরা আপাতত ফুটওভার ব্রিজ না ভাঙার দাবি জানিয়েছিলাম। অন্তত রোজার মাসটা বন্ধের দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী ফারুক অভিযোগ করে বলেন, মার্কেট আর দোতলার সঙ্গে থাকা সিঁড়ি ভাঙতে গিয়ে মার্কেটে আগুন লাগাইছে। নিচে কাপড়, ওপরে কাপড়, সাইডে কাপড়— এই ওয়েল্ডিংয়ের আগুন কাপড়ে লাইগা মার্কেটে ধাপ কইরা ঢুকে গেছে। এটা সিটি করপোরেশনের সম্পূর্ণ দোষ। এরা ব্রিজ ভাঙতে গিয়ে মার্কেট জ্বালায় ফেলছে।
আরেক ব্যবসায়ী বাবুল মুন্সি বলেন, পরিকল্পনা করে এই আগুন লাগানো হয়েছে। বহুতল ভবন করার জন্য এই আগুন লাগানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র মো. আবু নাসের বলেন, ‘ব্রিজ ভাঙার কাজ ভোররাত ২টার দিকে শুরু হয় এবং ভোর ৫টার দিকে শেষ হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ ফুট দূরে আগুন লেগেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘ব্রিজ ভাঙার কাজে গ্যাস কাটার ব্যবহার করা হয়নি। ডিপিডিসির কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ব্রিজটির সিঁড়ির একটি অংশ ভাঙার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তাই ব্রিজ ভাঙার সঙ্গে আগুন লাগার সম্পর্ক নেই।’
ঢাকা সিটি করপোরেশনের আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, ১ বছর আগে ফুট ওভারব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। তারপরে হকারের পাশাপাশি ক্রেতারা ব্রিজটি ব্যবহার করছিলেন। ঝুঁকি বিবেচনায় গতকাল রাতে সিঁড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ করা হয়। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কিছু দূরে আগুনে ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করব। এগুলো নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হবে।