27 C
Dhaka
Friday, November 15, 2024

নিজেদের ভিটে-মাটি ও চলাফেরার স্বাধীনতা পেলে ফিরে যেতে চায় রোহিঙ্গারা

- Advertisement -

প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে এসেছে বাংলাদেশে বসবাসরত ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

গতকাল শুক্রবার (৫ মে) সকালে টেকনাফে ট্রানজিট ঘাট দিয়ে মিয়ানমারে পৌছে সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি শেল্টার পরিদর্শন করেন তারা। পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তারা টেকনাফ এসে পৌঁছান।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি দেখতে ২৭ সদস্যের এই প্রতিনিধিদল শুক্রবারই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট ঘাট দিয়ে নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারের মংডু গিয়েছিলেন।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন ২০ জন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা এবং সাতজন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাও ছিলেন।

মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহর ঘুরে এসে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তাদের নাগরিকত্ব, নিজেদের ভিটেমাটি এবং চলাফেরার স্বাধীনতা দিলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে। মংডু শহরের পরিবেশ একটু ভালো হলেও গ্রামের পরিবেশে তারা সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন তারা।

রোহিঙ্গারা কোনো ক্যাম্পে নয়, নিজেদের ভিটে-বাড়িতে ফিরে যেতে চায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে গণমাধ্যমের সাথে এই মতামত ব্যক্ত করেন দু’জন রোহিঙ্গা নেতা।

তবে সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাখাইনের মংডু শহর ও গ্রামের পরিবেশ এখন অনেক ভালো। মংডু শহরে অধিকাংশ রোহিঙ্গা কাজকর্ম করছে, ঘুরছে অবাধে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। এক দিনে তা সমাধান করা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের টেকসই এবং মর্যাদার ভিত্তিতে প্রত্যাবাসন করতে চায় বাংলাদেশ।

এ সময় রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ সুফিয়ান জানান, ‘আমি যে গ্রামের বাসিন্দা সে গ্রামের নিজের বাড়িতে গিয়ে আমার বাড়ি ভিটায় একটা ক্যাম্প করেছে। আমরা এই ক্যাম্পে নয় নিজের ভিটা-মাটিতে ফিরতে চাই। আমাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।’

এর আগে ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসে মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। তারা বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের দেয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাছাই-বাছাই করে।

প্রতিনিধিদলটি টানা সাত দিন টেকনাফের স্থলবন্দর রেস্ট হাউজে অবস্থান করে বাংলাদেশে আশ্রিত ১৪৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ জন রোহিঙ্গার সাথে সরাসরি কথা বলে। আর তাদের দেয়া বক্তব্য রেকর্ড করে। গত ২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধিদলটি নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়।

ওই সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে সেই সব রোহিঙ্গা যাতে আগে থেকে রাখাইনের সার্বিক পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল শুক্রবার রাখাইন যান।

- Advertisement -
ফেস দ্যা পিপল লাইভ টক শো উইথ সাইফুর সাগর
Video thumbnail
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের দুই পক্ষের সং'ঘ'র্ষ! আ'হ'ত ৫ নিয়ে এ কী বললেন সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট?
09:41
Video thumbnail
এই সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে এ কী দাবি জানালেন সমন্বয়ক আশিকুর রহমান অভি?
09:25
Video thumbnail
মাইনাস ফর্মুলাতে এগুচ্ছে সরকার? যৌক্তিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে যে সমস্যার আশংকা! মুন্নি চৌধুরী
11:31
Video thumbnail
যাকে তাকে উপদেষ্টাতে নিয়োগ! ছাত্রদের সংখ্যা উপদেষ্টাতে বাড়াতে না পারা আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল! : জিম
13:31
Video thumbnail
কেন এই সরকারের সাথে সমন্বয়হীনতা! কারা উপদেষ্টা হচ্ছে জানে না কেউই! কঠোর মন্তব্য সমন্বয়ক অভির!
09:07
Video thumbnail
ড. ইউনূসের সরকার ব্যর্থ! এই সরকার দেশ চালাতে পারছে না! কেন এতো উত্তেজিত ইসমাইল সম্রাট?
11:53
Video thumbnail
মুখোমুখি মাসুদ অরুন।
26:26
Video thumbnail
মাইনাস ফর্মুলাতে এগুচ্ছে সরকার? দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা?
01:14:18
Video thumbnail
বাংলাদেশের সামনে ম'হা'বি'পদ, যা মোকাবেলার সামর্থ বাংলাদেশের নেই: মেজর জে. ফজলুর রহমান
11:56
Video thumbnail
আমি চাই না এদেশে ই'স'লা'মের নামে রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু হোক! এডঃ ফজলুর রহমান
24:48

সর্বশেষ

আমাদের সাথে সংযুক্ত হোন

1,600,000FansLike
428FollowersFollow
1,270,000SubscribersSubscribe