সংসদে এক শিল্পীর মুখে নিজের বন্দনা শুনে সরকারের প্রধানমন্ত্রী পুলকিত হলেও জনগণ লজ্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট কিংবা ভোট ডাকাতি, এমপিরা যেভাবেই সংসদে প্রবেশ করুক, বাস্তবতা হচ্ছে সংসদ অধিবেশন চলাকালে প্রতি মিনিটে রাষ্ট্রের ব্যয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। সুতরাং যেখানে বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাপীড়িত মানুষ যখন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে, বেঁচে থাকার লড়াই করছে সেখানে রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে সংসদে বসে বসে কোন এক শিল্পীর গান শোনা রীতিমতো মানবতার প্রতি অবমাননার শামিল।’
আজ শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত নিশিরাতের গর্ভে যে সংসদের জন্ম দেয়া হয়েছে সেই সংসদকে এখন নতুন করে রঙ্গশালায় পরিবর্তন করেছেন। যে যার ইচ্ছেমতো গান, কবিতা, খিস্তিখেউড় আর মিথ্যাচার চালিয়ে জনম্যান্ডেটহীন সংসদকে ইতোমধ্যেই রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে। সুতরাং, সংসদ অধিবেশনের নামে গান, নাটক, কবিতা আর খিস্তিখেউর শোনার জন্য রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ না করে সেই টাকা বরং বন্যার্তদের পেছনে খরচ করা এখন সময়ের দাবি।’
রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন লুটেরা আর টাকা পাচারকারীদের দলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি এবং স্বাধীনতার ঘোষকের পরিবার সম্পর্কে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করাই এই দলটির নেতা-মন্ত্রীদের এখন একমাত্র কাজ।’
রিজভী বলেন, ‘বিনাভোটে বছরের পর বছর ধরে এমপি পদবি উপভোগ করার পর মমতাজ-নিক্সনদের মনে হয়তো নিশিরাতের সরকারের মন্ত্রী হওয়ার খায়েশ জেগেছে। কিন্তু তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বেশি লোভ ভালো নয়। রাষ্ট্রীয় টাকা খরচ করে সংসদে বসে এমন পাগলামি-খিস্তিখেউর অব্যাহত থাকলে সেদিন আর বেশি দূরে নয়, জনরোষ থেকে বাঁচতে পুরো নিশিরাতের সরকারকেই জনচক্ষুর অন্তরালে চলে যেতে হতে পারে।’