দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ধাপে ধাপে এগিয়ে আসছে, তাই ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘সেটা কমিশনের দেখার বিষয় নয়, রাজনৈতিক বিষয়। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের কাজ সরকার যেই থাকুক, যেভাবে থাকুক, যথাসময়ে নির্বাচন করা।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে অনড় অবস্থানে রয়েছে বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের সমমনা জোটরা।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। আমরা যখন শপথ নিয়েছি, বলেছি যে, সংবিধান মেনে চলব। নির্বাচন কমিশনের কাজ কী- তা সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও আসনের সীমানা নির্ধারণ এবং সংসদ যদি আইন করে কোনো দায়িত্ব দেয়। নির্বাচন কমিশন সংবিধানের বাইরে যাবে না।
এই কমিশনার বলেন, নির্বাচন সব দল কখনও অংশ নেয় না। আমাদের ৪৪টি দল আছে। সবাই তো অংশগ্রহণ করবে না। অতীতেও নেয়নি। কেননা ভোটে অংশ নিতে অনেক সক্ষমতার বিষয় আছে।
বর্তমান কমিশন সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করার শপথ নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ এইটুকুই যে, ভোটার তালিকা করব, দলের নিবন্ধন দেব। আর যখন যে নির্বাচনের সময় আসবে, যথাসময়ে সে নির্বাচনগুলো করবে।’
তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর ডিসি, এসপি, পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার ও তাদের অধীনস্ত যারা আছে, ইসির অনুমতি ছাড়া কাউকে বদলি করা যাবে না। ইসি কাউকে বদলি করতে বললে সেটাও করতে হবে। এটা আইনেই বলা আছে। ভোট কবে, সুনির্দিষ্টভাবে সেই সিদ্ধান্ত হবে আগামী নভেম্বরে। এর আগে বলা যাবে না।’
মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘আমাদের কনসার্ন হবে আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়টি। স্থানীয় আর জাতীয় নির্বাচনে আচরণ বিধির ভিন্নতা আছে। নিরাপত্তার জন্য উনারা যা প্রয়োজন, পাবেন। তবে সরকারি কিছু ব্যবহার করতে পারবেন না নির্বাচনি কাজে।’
ছোট দলগুলো জনসভার মতো প্রচারের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ কীভাবে পাবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘এটা তো দলগুলোর সাংগঠনিক সক্ষমতার বিষয়। এটা নিয়ে আমাদের তো কিছু করার নেই। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দায়িত্ব শুধু ইসির নয়। এটি সরকার, ভোটার, প্রার্থী সকলের দায়িত্ব। আইনে যেটুকু বলা আছে ততটুকু দায়িত্ব ইসির।