জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টি দলের নেতাদের অবমূল্যায়ন করেছে। এ কারণে তিনি নির্বাচন করবেন না।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ঢাকার গুলশানের বাসায় অনুসারীদের নিয়ে এক বৈঠকের পর রওশন এরশাদ এই ঘোষণা দেন। তিনি একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি।
এদিকে রওশন এরশাদ ও তাঁর ছেলে সাদ এরশাদকে মনোনয়ন ফরম দিতে আজ রাত নয়টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও ফরম না নিলে রওশনের আসনে কী করবে, সে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে দলটি।
জাপার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ আসনে নির্বাচন করেন। সে আসনটি তাঁর জন্য খালি রাখা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রওশন দলীয় মনোনয়ন ফরম না নিলে সেখানে দলের ময়মনসিংহ সদর উপজেলা সভাপতি আবু মো. মুছা সরকারকে প্রার্থী করা হবে। তাঁকে ঢাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমি দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও তপশিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক সহযোগিতা না করার কারণে দলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন রওশন।
তিনি বলেন, ‘এমন অবস্থায় দলের নেতাদের অবমূল্যায়ন করার কারণে আমার নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ ছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীদের সব ফরম বিতরণ আজ বিকেল পর্যন্ত শেষ হয়েছে।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) যেকোনো সময় ফরম নিতে আসবেন। তাই আমার প্রতি নির্দেশনা ছিল সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অফিসে থাকার। কিন্তু আসেননি। মহাসচিবের নির্দেশে সাদ এরশাদকে সকাল থেকে অনেকবার ফোন করেছি, মেসেজ পাঠিয়েছি। কিন্তু তিনি রেসপন্স (সাড়া) করেননি।’
গত রোববার ২৮৭টি আসনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করে জাতীয় পার্টি।
সূত্রে জানা যায়, দলের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দিষ্ট আসনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে রওশন ও জি এম কাদেরের মধ্যে বিরোধ চলছিল।