দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন অবজারভার একটা ভুল পলিসি। অধিকাংশ দেশে কোনো অবজারভার যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যায় না, ইংল্যান্ডেও যায় না। এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও না।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্যালেসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি দেশের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করলাম, সেসব দেশেও নির্বাচন অবজারভার যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের দৈন্যতা রয়েছে, কারণ আমরা অনেকদিন উপনিবেশ ছিলাম।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন ঘিরে বিদেশিদের সনদ পেতে চাই না। আমরা এখন নিজেরাই আত্মবিশ্বাসী। আমরা আত্মমর্যাদাশীল দেশ, বিদেশিদের সনদ আর নেবো না। আমরা এখন শক্ত অবস্থায়।
মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ নির্বাচন ভালো করছি। তারপরও নির্বাচন অবজারভার নিয়ে চিৎকার করা হচ্ছে। তারা (পর্যবেক্ষকরা) আসুক, দেখুক। তবে আমি বলবো, নির্বাচন অবজারভার একটা ভুল পলিসি।
ড. মোমেন বলেন, আমরা মনে করি না জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে। আর কারচুপির মাধ্যমে কোনো সরকার যদি ক্ষমতায় আসে সে সরকার বেশিদিন টিকবে না।
আগামী নির্বাচন সরকার ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে পিসফুল ইলেকশনের গ্যারান্টি চাইলেই দেওয়া যাবে না। পিসফুল নির্বাচনে সব দল ও মতের আন্তরিকতা প্রয়োজন, তা না হলে সম্ভব নয়। আই ক্যান নট গ্যারান্টি পিসফুল ইলেকশন। নির্বাচন পিসফুল করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অবজারভার আসুক দেখুক, তাদের ওয়েলকাম।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতদিন মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার না আসে ততদিন এ সমস্যার সমাধান হবে না। এর জন্য সেদেশে গণতান্ত্রিক সরকার দরকার।
বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির সৃষ্টি ক্যান্টনমেন্টে। তারা ‘আজিজ মার্কা’ নির্বাচন চায়। তবে আমরা আশা করবো, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে।