পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন দাবি করেছেন, সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের বিদেশি চাপে নেই। এ নিয়ে কারো মাতব্বরি সহ্য করা হবে না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা কোনো চাপের মুখে নেই। কারণ অত্যন্ত পরিষ্কার যে, আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন করব। অন্যরা পছন্দ করুক বা না করুক, এটি তাদের সমস্যা। তারা চাপের মুখে পড়ে ছাই হয়ে যাবে, কিন্তু আমরা টিকে থাকব।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে সব দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনা হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হবে টাকা-রুপি লেনদেন সহজীকরণ সংক্রান্ত। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতের এনপিসিআইর মধ্যে ওই সমঝোতা স্মারক সই হবে।
মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য দিল্লি যাবেন। সফরের প্রথম দিনেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এছাড়া সম্মেলনের সাইডলাইনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ কোরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনা আছে।
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি না। আমরা যেটি চাই, সেটি হলো আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য। কোনো কারচুপি চাই না।
তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন চাই। সেখানে কেউ যদি আমাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাব। তবে কেউ যদি মাতব্বরির ভূমিকা নিয়ে আসে, আমরা সেটি সহ্য করব না। আমরা স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পান না।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ঢাকা সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ঠিক সময়ে শেষ করার তাগাদা দেব। আমাদের কিছু সমস্যা ছিল মাঝখানে এবং এগুলো সমাধান হয়েছে। আমরা তাদের দেশ থেকে সার কিনি এবং এটির আনা-নেওয়া নিয়ে কিছু ঝামেলা আছে। এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশের নির্বাচন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পালটাপালটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসব বিষয় আলোচনায় উঠবে কিনা? জানতে চাইলে মন্ত্রী বিষয়টি এড়িয়ে যান।