ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়–‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানো ছিল’ এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন পাতানো ছিল না। বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করায় নতুন এ রণকৌশল নিতে হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নামিদামি অনেক দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভার প্রারম্ভিক বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিরোধী দল (বিএনপি) নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বড় অংশ। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এ রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালি ফসল আমরা ঘরে তুলেছি।
তিনি বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখন অনেকে অনেক কথাই বলবে।
বিএনপির আস্ফালন কোথায় গেল- এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছে তারা। নির্বাচন বর্জনও করেছে। ভালো নির্বাচন হয়েছে বলেই এখন বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশংসা আসছে। বিএনপিই শুধু এই নির্বাচন গ্রহণ করতে পারছে না। তারা এখনো বলছে সংসদ অবৈধ।
জিয়াউর রহমানের মতো প্রহসনের নির্বাচন, মাগুরার মতো নির্বাচন করলেই কি নির্বাচন বৈধতা পাবে- এমন প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অন্তত আওয়ামী লীগকে নির্বাচন শেখাতে হবে না। দেশে ভালো নির্বাচন করেছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে, সরকারি দলের প্রার্থীকেও শোকজ করেছে কমিশন। গণতন্ত্রের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।