যুক্তরাজ্যের একটি সরকারি সংস্থা নেটফ্লিক্সের মতো অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোর পাসওয়ার্ড শেয়ার করা আইনের বিরুদ্ধে বলে উল্লেখ করেছে।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অফিস (আইপিও) মঙ্গলবার বলেছে যে এধরনের অনুশীলন কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে।
যুক্তরাজ্যে যারা একসঙ্গে থাকেন না তাদের স্ট্রিমিং পরিষেবার পাসওয়ার্ড শেয়ার করা খুব সাধারণ বিষয়। যদিও এটি সাধারণত পরিষেবা চুক্তির শর্তের বিরুদ্ধে।
এক্ষেত্রে যে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে এমন ইঙ্গিত নেটফ্লিক্স কখনো দেয়নি।
আইপিও সরকারি ওয়েবসাইটে তাদের নির্দেশিকাতে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার বিষয়টি সরিয়ে দিয়েছে। একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার বিষয়ে আইনি অবস্থান পরিবর্তন হয়নি এবং আইপিও-এর নির্দেশিকারও একই অবস্থা। যেখানে বলা হয়েছে যে পাসওয়ার্ড শেয়ার করা মূলত একটি অপরাধ।
যেখানে আরও বলা হয়, ‘ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে বিভিন্ন বিধান রয়েছে, যা পাসওয়ার্ড শেয়ার করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো ব্যবহারকারীকে অর্থ প্রদান ছাড়াই কপিরাইট-সুরক্ষিত কাজে প্রবেশাধিকার দেয়া। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এই বিধানগুলোর মধ্যে চুক্তির শর্তাদি লঙ্ঘন, জালিয়াতি বা সেকেন্ডারি কপিরাইট লঙ্ঘন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। যেখানে দেওয়ানি আইনে এই বিধানগুলো দেয়া আছে। যা প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি পরিষেবা প্রদানকারীর ওপর নির্ভর করবে।”’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উল্লেখ করেছে, যুক্তরাজ্যের প্রথম সারির স্ট্রিমিং পরিষেবাদানকারীরা তা করবে এমন ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি।
নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, তারা অন্যদের অ্যাকাউন্ট ধার করা লোকেদের জন্য তাদের নিজস্ব সেট আপ করা, তাদের প্রোফাইল একটি নতুন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা এবং সেইসঙ্গে পরিবার বা বন্ধুদের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের জন্য সাব-অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সহজ করতে চেয়েছিল। ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে এই বৈশিষ্ট্যগুলো আরও বিস্তৃতভাবে চালু করা শুরু হবে বলে তারা জানায়।