মো.খোকন,নেত্রকোণা প্রতিনিধি:নেত্রকোণায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)। গত চার বছর আগে ০৯ বছরের শিশু পরশমণি হত্যাকাণ্ডের কোন ক্লু সে সময় পায়নি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন পর এ হত্যাকাণ্ডের আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়েছিলো নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলার কদমশ্রী গ্রামের হাবিবুর রহমানের বড় মেয়ে পরশমণি (০৯)। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান পায়নি পরিবার। পরদিন ভোরে বুলবুল চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির বাড়ির সামনের বিল থেকে নিখোঁজ পরশমণির মৃতদেহ উদ্ধার করে মদন থানা পুলিশ।
২০১৮ সালের ১১ আগস্ট নিহত শিশু পরশমণির অভিভাবক মদন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি মদন থানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত করে কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি৷ পরে সিআইডিও মামলাটি এক বছরের বেশি তদন্ত করে কিন্তু কোন দফারফা করতে না পারায় মামলার তদন্তভার আসে পিবিআই,নেত্রকোণা ইউনিটে।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম(বার) পিপিএম এর নির্দেশনায় নেত্রকোণা ইউনিটের ইনচার্জ মো.শাহীনুর কবির ও পুলিশ পরিদর্শক মো.নুরুল ইসলাম খান মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে হত্যাকারী জোবায়ের(২৩)কে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হন।
এ বিষয়ে পিবিআই নেত্রকোণা ইউনিটের ইনচার্জ মো.শাহীনুর কবির প্রেস ব্রিফিং এ বলেন,মামলাটি তদন্তে পুলিশ ও সিআইডি কোন রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্তভার আসে পিবিআই নেত্রকোণা ইউনিটে। মমলাটি তদন্তে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে সন্দেহভাজন আসামি জুবায়েরকে নেত্রকোণা সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হই। আসামি জোবায়েরকে আদালতে সোপর্দ করার পর সে বিজ্ঞ আদালতে শিশু পরশমণিকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি আরোও বলেন, আসামি জুবায়ের শিশু পরশমণিকে ঝোপের পাশে নিয়ে তার সাথে অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করলে শিশুটি চিৎকার করে। আসামি শিশুটিকে থামানোর চেষ্টায় একপর্যায়ে তাকে থাপ্পর দেয়। এতে শিশুটি জ্ঞান হারায়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে সে শিশুটিকে গলাটিপে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।