নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম! কত কি হারিয়েছে বাংলাদেশ এই স্টেডিয়ামে। পুরুষ দল একাধিকবার হার মেনে এসেছে হিমালয়ের দেশ থেকে। সেই ২০০৩ সালে আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিলো বাংলাদেশ। বেলায় বেলায় কেটেছে ১৯ বসন্ত। অধরা শিরোপা আর পায়নি লাল-সবুজের দল। তবে নেপালে এবার সেই অস্বস্তির মেঘ সরলো। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারীদের সাফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
নেপালের সাথে আগের ৬ দেখায় ৫ হার। ম্যাচটা তাই ফাইনালের সাথে সাথে ছিলো প্রতিশোধের। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সামনে মিশনটাও বড়। সেটায় সাফল্যের সাথেই উৎরে গেছেন এই মাস্টারমাইন্ড। এই নিয়ে গোলাম রব্বানী ছোটন বয়সভিত্তিক ও মূল দল মিলিয়ে এনে দিলেন চতুর্থ শিরোপা।
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়ার ম্যাচে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। আগের ম্যাচে কিছুটা চোট পাওয়ায় নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামার পর স্বপ্নার মধ্যে ফিটনেস ঘাটতি দেখা যাচ্ছিল। মাত্র দশমিনিটেই তাকে বদলি করে নামানো হয় শামসুন্নাহারকে। ১৪তম মিনিটে শামসুন্নাহারই লিড এনে দেন। মণিকা চাকমার বাম কর্নার থেকে ক্রস করা বল বক্সের মধ্যে পেয়ে দারুণভাবে জালে পাঠিয়ে দেন এ তরুণ ফরোয়ার্ড।
বৃষ্টিভেজা মাঠে পাস ঠিক ঠাক না এগোনোয় উভয়পক্ষই বার বার বল হারাচ্ছিল। পর ৪১ মিনিটে কৃষ্ণা রানী সরকার দ্বিতীয় গোল উপহার দেন।
বিরতির পএ ম্যাচের ৭০ মিনিটে আনিতা গোল করে নেপালকে ম্যাচে ফেরান। তবে ৭৭ মিনিটে কৃষ্ণা গোল করে দলের চাপ কমান। শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই প্রথমবারের মতো নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়ন বনে যায় বাংলাদেশ।