পঞ্চগড় জেলায় আহমদিয়া (কাদিয়ানী) সম্প্রদায়ের ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবন আয়োজিত ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র বর্ধিত সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল পঞ্চগড়ের ঘটনাটিকে পরিকল্পিত মন্তব্য করে বলেন, এর আগেও পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তারপরও তাদের কর্মসূচিতে প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। যেহেতু অনুমতি দিয়েছে তাহলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলো না কেন? বিএনপির কর্মসূচিতে তো পুলিশ দিয়ে বেষ্টনি তৈরি করে ফেলেন, তাহলে পঞ্চগড়ে কেন করা হলো না? প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিলে দু’জন মানুষের প্রাণহানি হতো না।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম গিয়েছিলেন, সেখানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন তাকে বলেছে যে আপনার আশেপাশের অনেকেই আছেন যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত। কিন্তু রেলমন্ত্রী তাদের কথা আমলে না নিয়ে একতরফাভাবে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। যদিও দেশের মানুষ আর তাদের কথা বিশ্বাস করেন না।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ঘটনার পর মেজর হাফিজের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেছেন, তারা বিএনপি প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে, ঘটনার দুই- এক দিন আগে থেকে ওই এলাকায় খুঁজে খুঁজে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়ির সামনে কোথাও লাল পতাকা কোথাও সাদা পতাকা লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে সেসব বাড়িতে হামলা অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় পঞ্চগড়ের এ ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে, যা বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনে উঠে আসে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া (কাদিয়ানী) সম্প্রদানের সালানা জলসা বন্ধ ও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দেয় খতমে নবুয়ত পরিষদ। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে কাদিয়ানী, কাদিয়ানী বিরোধী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।