পঞ্চগড়ের বোদায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার মাইক্রোস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ধানহাটি থেকে উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মাইক্রোস্ট্যান্ড এলাকায় গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়।
এতে উপজেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, নুর আলম পুলক, শরিত উল্লাহ বিপ্লব, রাজিউল ইসলাম, বিএনপি নেতা আসাদুল্লাহ আসাদ, আবু বক্কর সিদ্দিক মহব্বত ও ছাত্রদল নেতা মো. মিঠু আহত হন। একই ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী লেলিন, পাপ্পু, মারুফ, আরমান, মুন্না ও শিহাবসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন।
আহতদের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাজিউল ইসলামকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও জাহাঙ্গীর আলম, নুর আলম পুলক ও ছাত্রদল নেতা মো. মিঠুকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রায়হানুল আলম প্রধান জানান, আমাদের মিছিলে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে তারা অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশকয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।
উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক আনজাম পিয়াল বলেন, আমরা কয়েকজন হেঁটে যাচ্ছিলাম। এ সময় মিছিল নিয়ে যাওয়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক শ্লোগান দেন। আমরা এমন শ্লোগান দিতে নিষেধ করি। এ সময় আগে থেকেই মিছিলে রাখা লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় তারা।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করেননি।