জাতীয় সংসদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। আজ বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে গিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন দলের পাঁচ সংসদ সদস্য।
সাথে সাথেই সংসদ স্পিকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। সেইসাথে তাদের আসন শূন্য ঘোষণা করেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমার কাছে সাতজনের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পাঁচজন সশরীরে ছিলেন, তাদেরটা গ্রহণ করা হয়েছে। সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ওই আসনগুলো শূন্য হয়ে গেছে। বাকি দুজনের আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেব।
দুই অনুপস্থিত সংসদ সদস্যের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে সংসদ সচিবালয় সাত্তার সাহেবের স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখবেন এবং কথা বলবেন। সব ঠিক থাকলে তা গৃহীত হবে। তবে ইমেইলে দেওয়ায় হারুনের আবেদন গ্রহণ হবে না, তাকে পরে এসে জমা দিতে হবে’
স্পিকারের কাছে আজ সশরীরে পদত্যাগপত্র দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের জিএম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত আসনের রুমিন ফারহানা।
বিএনপির অন্য দুই সদস্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুন অর রশীদ বিদেশে থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সশরীর পদত্যাগপত্র দেননি। এই সংসদের মেয়াদ এক বছরের বেশি সময় বাকি আছে।
পরবর্তী করণীয় জানিয়ে স্পিকার বলেন, আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশের পর তাদের কাছে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন হবে আসন শূন্যের বিষয়ে এখন গেজেট হবে, পরে সংসদ অধিবেশন যখন বসবে, সেখানেও জানানো হবে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপির এমপিরা পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন আগেই। সবশেষ শনিবার গোলাপবাগে বিভাগীয় সমাবেশে গিয়ে তারা পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। আজ সশরীরে হাজির হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।