কানাডার রাজনীতিতে এখন নতুন পালাবদল শুরু হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। নিজ দলের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবি উঠেছে। অবশেষে লিবারেল পার্টির প্রধান হিসেবে তিনি আগামীকাল সোমবার পদত্যাগ করতে পারেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা গ্লোব ও মেইল এই তথ্য জানিয়েছে।
গ্লোব ও মেইলকে নির্দিষ্ট সূত্র জানিয়েছে যে তারা স্পষ্ট করে জানে না যে ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা কখন দিবেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগেই তিনি পদত্যাগ করবেন।
এ নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছ থেকে জানতে জানতে চাওয়া হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া লিবারেল পার্টির নতুন প্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন না পদত্যাগ করবেন- সেই সম্পর্কেও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
লিবারেল পার্টি অব কানাডার প্রধান হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রুডো। এরপর ২০১৫ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। টানা ৯ বছর ধরে তিনি এ পদে আছেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতিসহ নানা চাপে পড়েছেন ট্রুডো।
এর আগে গেলো বছরের ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন কানাডার উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। ট্রুডোর সঙ্গে বিরোধের জেরেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। একসময় ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন ফ্রিল্যান্ড।
ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর ট্রুডোর সংকট আরও বেড়ে যায়। শেষমেশ এবার দলের প্রধান হিসেবে ট্রুডো পদত্যাগ করছেন বলেই চলছে আলোচনা।