পদ্মা সেতু চালুর পরপর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুদিন ফিরলেও কপাল পুড়েছে লঞ্চ মালিকদের। সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই পটুয়াখালী-ঢাকা নৌ-রুটের লঞ্চ যাত্রী কমতে শুরু করেছে। ভাড়া কমানোর ঘোষণা দিয়েও কাঙ্ক্ষিত যাত্রী মিলছে না লঞ্চগুলোতে। পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়েই চলাচল করছে ল্পঞ্চগুলো।
অনেকের বক্তব্য, লঞ্চ মালিকদের দীর্ঘদিনের একচেটিয়া অত্যাচারে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন যাত্রীরা। আবার কারো কারো মতে, সেতু উদ্বোধন হওয়ায় সাময়িক আনন্দে লঞ্চ বর্জন করেছেন সবাই। টানা রোটেশন পদ্ধতি ও স্টাফদের কারণে লঞ্চ রুটে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলেও ধারণা করেন অনেকেই।
লঞ্চে যাত্রীদের জন্য ভাড়া কমিয়েও যাত্রী না পাবার কথা স্বীকার করেছেন অনেকেই। তিন তলা বিশিষ্ট সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের পটুয়াখালী ঘাটের কেবিন ইনচার্জ মো. জাফর মিয়া বলেন, লঞ্চে প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য সিঙ্গেল, ডাবল, ফ্যামিলি ও ভিআইপিসহ মোট কেবিনের সংখ্যা ১২৯টি। এর মধ্যে ২৮ জুন পটুয়াখালী থেকে ৯২টি কেবিন বুকিং হয়েছে। চারশ টাকা ডেকের ভাড়া ৩শ টাকা করেছি। এছাড়া ২৮ টাকার ডাবল কেবিন ২২শ টাকা ও ১৫শ টাকার সিঙ্গেল ১২শ টাকা এবং ৭ হাজার টাকার ভিআইপি কেবিন ৫ হাজার টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫ শতাংশ যাত্রী আসছে।
তবে সংশ্লিষ্টদের আশা, কুরবানির আগেই যাত্রী সংখ্যা আগের মত বেড়ে যাবে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, ভ্রমণ ছাড়াও পণ্য ও বড় আসবাবপত্র বহনের ক্ষেত্রে লঞ্চই এখন পর্যন্ত আস্থার প্রতীক। আর আরামদায়ক ভ্রমণের জন্যেও লঞ্চ পছন্দের শীর্ষে থাকবে বলে দাবি তাদের।
পটুয়াখালী চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে আবেগ-আকাঙ্খা ছিল, তার প্রতিফলনে কিছুদিন যাত্রী কম হওয়ার সম্ভবনা আছে। তবে এসব প্রতিকুলতা কাটাতে লঞ্চ মালিকদের ও স্টাফদের সহনশীল হতে হবে। বিগত দিনের ভোগান্তির কারণে যাত্রীদের মাঝে যে ক্ষোভ আছে, তা সেবার মাধ্যমে ভুলিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরুর অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে মালিকপক্ষকে।