বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যখন আন্দোলন জমে উঠতে থাকে, ঠিক তার আগে জঙ্গি নাটক অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটের কুলাউড়া থেকে ১০ ‘জঙ্গি’ গ্রেপ্তারের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন জঙ্গির কথা বলে বলে সরকার মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে নেবে। পশ্চিমা বিশ্বকে আবার সেই জুজুর ভয় দেখাবে যে, এই দেখো, বাংলাদেশে আমরা যদি না থাকি তাহলে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করে রাখতে চায়। কুলাউড়াতে হঠাৎ দেখা গেল, শহরের পাশে একটু দূরে একটি বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলছে। সেখান থেকে ৬ নারী, ৪ শিশু ও ৪ জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে। সঙ্গে ডেটোনেটর, ৩ কেজি বিস্ফোরক; ভয়াবহ ব্যাপার। হঠাৎ করে কোত্থেকে আসলো? কারা আনলো? কীভাবে আনলো?’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের হাতে কখনো কোনো দেশের মঙ্গল হয় না, ধ্বংস হয়। এরা যত কিছুই বলুক, মূল অর্থ হচ্ছে চুরি করা, লুট করা। সেই লুট তারা করে চলেছে। কিন্তু শেষ সময় আসে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। ওই বাতাসে নড়তে শুরু করেছে। এখন সারা বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এক বাক্যে একটা জিনিস চায়, সেটা হচ্ছে, এই সরকারের পতন।
ফখরুল বলেন, আজকে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, আমাদের বেশির ভাগ নেতাকর্মী বাড়িতে ঘুমাতে পারে না অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, তাকে না পেলে ভাইকে নিয়ে যায়। এখান থেকে আমাদের সবাইকে মুক্ত হতে হবে। আমরা একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। সবার অধিকার নিশ্চিত হবে এ রকম একটা বাংলাদেশ চাই।